মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৭ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার নবাবগঞ্জের কৈলাইল ইউনিয়নের নয়াকান্দা এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে তানজিত খান পলাশ গংদের উপর হামলার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দিবাগত মঙ্গলবার(১১ নভেম্বর) রাত ১০ টার দিকে কাশিমপুর এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়৷
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নয়াকান্দা এলাকার এমদাদুল দেওয়ান, রাকিব দেওয়ান, সিজান ও সুজন৷ মামলার এজাহারে বলা হয়, ওই গ্রামের পলাশের চাচাতো ভাই বিল্লাল হোসেন গংদের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল একই গ্রামের এমদাদুল দেওয়ান গংদের সাথে৷ সেই বিরোধের জের ধরেই মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে সড়ক দিয়ে যাতায়াতের সময় পলাশকে ধাওয়া করে এমদাদুলসহ মামলার এজাহারের অন্যান্যরা৷ একপর্যায়ে পলাশ নিজেকে বাঁচাতে দৌড়ে আশ্রয় নেয় চাচাতো ভাই বিল্লালের ঘরে৷
এজাহারে আরও বলা হয়, বিল্লালের ঘরে পালানোর পর সেখানে গিয়ে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করার পর হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেন এমদাদুল গং৷ পলাশের ডাক চিৎকারে এগিয়ে আসে তার স্বজনরা৷ এসময় পলাশ গুরুতর আহত হয়৷ ফেরাতে এসে তাঁর বোন রোকসানা বেগমও আহত হয়৷ আহতদের নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা নেয়৷
এ ঘটনায় পলাশের চাচাতো ভাই বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় তাৎক্ষণিক ওই দিন রাত নয়টার দিকে একটি লিখিত অভিযোগ করেন৷ এতে এ ঘটনা উল্লেখ করা হয়৷ সেখানে ৯ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনকে আসামী করা হয়৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রাত ১০ টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করেন৷
বিল্লাল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এমদাদুল দেওয়ানদের সাথে আমাদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল৷ সেই বিরোধের জের ধরেই পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়৷
তিনি আরও বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমাদের প্রতিনিয়ত জুলুম অত্যাচার করেছে অভিযুক্তরা৷ এখনও তাদের দপট কমেনি৷ আমরা তাঁদের শাস্তি দাবি করছি৷
নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে একটি লিখিত অভিযোগ করেন বিল্লাল হোসেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওইদিন রাতেই কাশিমপুর এলাকা থেকে জড়িত চারজনকে আটক করা হয়৷ পরে, গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার(১২ নভেম্বর) দুপুরে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়৷
এ ঘটনা জানতে মামলার বিবাদী পক্ষের স্বজনদের বক্তব্য নিতে একাধিক চেষ্টা করেও কাউকে পাওয়া যায়নি৷